সাংবাদিকরা পান দেশ লুটেরা শাহেদকে, হরেক রকমের বাহিনী তার টিকিটিও ছুঁতে পারছে না - adsangbad.com

সর্বশেষ


Friday, July 10, 2020

সাংবাদিকরা পান দেশ লুটেরা শাহেদকে, হরেক রকমের বাহিনী তার টিকিটিও ছুঁতে পারছে না


সাইদুর রহমান রিমন : করোনা মহামারী নিয়ে কোটি কোটি টাকা প্রতারণা চালিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক বিতর্কিত হওয়া শাহেদ করিমের অপকর্মে সারাবিশ্ব থেকেই বিচ্ছিন্ন হওয়ার পথে বাংলাদেশ।  ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের বিমান ও এদেশের নাগরিকদের ইটালী অবতরণ নিষিদ্ধ হয়েছে, অন্য দেশগুলো নিতে যাচ্ছে আরো কঠোর ভূমিকা।  দেশের প্রভাবশালী নেতা, শীর্ষ পদের আমলা, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, সাংবাদিক নেতা, পত্রিকা সম্পাদক, টেলিভিশন চ্যানেলের নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তাদেরকে নিজের আজ্ঞাবহ সহযোগী বানিয়ে দেশ লুটেরা শাহেদ করিমের অপরাধ অপকর্ম চলেছে বাধাহীনভাবে।  তার সাগরচুরির মতো ঘটনাবলী একে একে ফাঁস হতেই ক্ষমতাসীন দলের বাঘা নেতারা বরাবরের মতো ধূর্ত শাহেদকেও চিনতে চাইছেন না, বলতে চাইছেন-সে আওয়ামীলীগের কেউ নন।  গরুর ওষুধের মতো বেঢপ্পা ট্যাবলেট আকারের শাহেদের কপালে চুমু দিয়ে যারা ছবি তুলেছেন, কাধে হাত রেখে, কোমর জড়িয়ে বাঈজীপাড়ার নৃত্যের আদলে যারা ভিডিওচিত্রে অংশ নিয়েছেন- তারাও এখন শাহেদকে না চেনার ভান ধরছেন।  যে বেজম্মা লুটেরাকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলোতে বাংলাদেশ বিরোধী লীড রিপোর্ট হচ্ছে, ছি: ছি: করছে সারাবিশ্ব- সেই কুলাঙ্গার শাহেদ এখনো বহাল তবিয়তে দেশেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন।  দেশের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক চরম অসন্তোষ প্রকাশ করা সত্তেও গত সাত দিনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তার টিকিটিও ছুঁতে পারেনি।  হরেক রকমের নানা বর্ণের দেশ কাঁপানো গোয়েন্দা বাহিনীকেও বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শণ করে শাহেদ করিম ঢাকাতেই রয়েছেন শতভাগ নিরাপদে, নির্বিঘ্ন আয়েশে।  তার এ বুদ্ধিমত্তার প্রশংসা করবো নাকি গোয়েন্দা বাহিনীসহ সরকারের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিন্দা করবো-তা ঠাহর করতে কষ্ট হচ্ছে।  আরো বেশি খারাপ লাগছে যখন দেশ উল্টেপাল্টে দেওয়া বিখ্যাত সব বাহিনীর যেসব সদস্যরা ২০ হাত মাটি খুঁড়েও জঙ্গীদের দেহ বের করে আনার দক্ষতা দেখিয়েছে তারাও মুখে কুলুপ এঁটে করোনার মাক্স লাগিয়ে রুম করেন্টাইনের জিকিরে ব্যস্ত থাকছেন।  অথচ এ মুহূর্তেই আমাদের মতো চুনোপুটি সংবাদকর্মিরা কুখ্যাত সেই শাহেদ করিমের সাক্ষাৎকার গ্রহণে সক্ষম হচ্ছি-সাংবাদিকতার এ সফলতা যেন গোটা দেশের চোখে মুখে চুনকালি লাগিয়ে দিচ্ছে।  এ সফলতায় আনন্দিত হতে পারছি না, বরং নিজের চুল টেনে টেনে তুলে ফেলতে ইচ্ছে হচ্ছে।  প্রশ্ন জাগছে-একজন দেশ লুটেরা কুলাঙ্গারের কাছে রাষ্ট্রকেই ব্যর্থ বানিয়ে দেয়ার সংঘবদ্ধ চক্রান্ত চলছে না তো?? তাকে গ্রেফতার করতেও কি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ আশা করছেন? না কি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন গোটা সরকারকেই আপোষহীন ভূমিকার ঘোষণা দিতে হবে?? প্লীজ! রাষ্ট্রের নিরীহ নাগরিক হিসেবে আমরা ভীষণ লজ্জা পাচ্ছি।  আমাদের নেংটা বানানোর আগেই তাকে গ্রেফতার করে খাঁচায় অন্তত ঢোকান।  কথা দিচ্ছি-তার বিচার করার মতো কঠিন কোনো দাবি তুলবো না!!

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here

Pages