নিজস্ব প্রতিবেদক : ঘূর্ণিঝড় আম্পান আঘাত হেনেছে বাংলাদেশের উপকূলে। প্রচন্ড বেগে ঝড়ো-হাওয়া বইছে। গাছপালা-ঘরবাড়ি ভাঙ্গছে বলে জানিয়েছেন উপকূলের বাসিন্দারা। তারা বলছেন, রাতের প্রথমভাগেই আম্পান উপকূল অতিক্রম করবে। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে উপকূলের মানববসতীপূর্ণ বড় এবং মাঝারি আকারের ৩০ থেকে ৩৫টি দ্বীপ-যাকে স্থানীয়ভাবে চর বলা হয়- তা পানির নীচে তলিয়ে গেছে। উপকূলেরও বিশাল এলাকা এখন পানির নীচে। সময় গড়ানোর সাথে সাথে এর আরও অবনতি হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এ সম্পর্কে উপকূলের জেলা পিরোজপুর থেকে সাংবাদিক নাসিম আলী জানিয়েছেন, ঝড় আঘাত হেনেছে, সাগর আরো ক্রমশ: উত্তাল হচ্ছে।
সাতক্ষীরাসহ সুন্দরবানের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা থেকে সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম মিনি।
ইতোমধ্যে দেশের সাড়ে ১৩ হাজার ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয়েছে ২০ লাখের মতো মানুষকে। সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের ত্রাণ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক।
ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া মানুষের মধ্যে সাহায্য-সহায়তা পাওয়া নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রাকৃতিক নিয়মেই বর্তমান সময়ে সাগরে উত্তাল অবস্থা বা ‘‘ভরাকাটাল’’ অবস্থা থাকার কথা। এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানায় জলোচ্ছাসের মাত্রা ও ক্ষয়ক্ষতি কতোটা হবে তা এখনই স্পষ্ট নয়। ক্ষয়ক্ষতির হিসেবও এখনই করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।