![]() |
ফাইল ফুটেজ |
অনলাইন ডেস্ক: বিশ্বের ২৩টি দেশে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস যেন কোনোভাবেই দেশে প্রবেশ করতে না পারে, সে বিষয়ে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বিশেষ এক বৈঠক থেকে এ নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে করোনাভাইরাস নিয়ে বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভা কক্ষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে করোনাভাইরাস নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী ২০/২৫ জনকে নিয়ে আলাদা একটি বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছে, যেভাবেই হোক, এই ভাইরাস যেন আমাদের দেশে ঢুকতে না পারে, সে ব্যবস্থা নিতে হবে।
সচিব জানান, ‘চীনের উহানে এখনও ১৭১ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আছেন। তাদের দেশে আনা হবে। কিন্তু তাদের আনতে দেশ থেকে বিমান পাঠানো যাবে না। কারণ যে বিমান পাঠানো হয়েছিল, তার পাইলট ও ক্রুদের সিঙ্গাপুরসহ অন্যান্য দেশ ভিসা দিতে চাচ্ছে না। এ কারণে বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়কে চার্টার্ড বিমান নিতে বলা হয়েছে।’
উহানে ফেরত যাওয়াদের আপাতত বাংলাদেশে আসতে দেওয়া হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, পরিষ্কার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের যেসব প্রকল্পে উহানের শ্রমিক আছে, এরমধ্যে যারা উহানে ফেরত গেছেন, তাদের ওয়ার্ক পারমিট আর নবায়ন করা হবে না।’
সচিব জানান, ‘উহান থেকে ঢাকায় যে চারটি ফ্লাইট আসে, তারা খুব বেশি প্যাসেঞ্জার বহন করে না। তাই ইউএস বাংলাসহ অন্যান্য এয়ারলাইনগুলো নিজেরাই এসব ফ্লাইট বন্ধ করে দেবে।’
বৈঠকে বিমান মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক প্রফেসর এম আবদুল্লাহও উপস্থিত ছিলেন।