মাসুদ রানা: সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরতে চাওয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওটির নারীর নাম পরিচয় মিলেছে এবং তাকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
জানাযায়, সৌদি আরব থেকে বাচাঁর আকুতি জানিয়ে ভিডিওটি প্রকাশ করে আশুলিয়ার চারাবাগের নুরুল ইসলামের স্ত্রী সুমি আক্তার।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওর সূত্র ধরে অনুসন্ধান চালায় সাংবাদিকরা। আর অনুসন্ধানের এক পর্যয়ে সৌদিতে নির্যাতিত নারী সুমি আক্তারের পরিবারের খোজ মেলে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে গৃহকর্মীর প্রশিক্ষণ শেষ করেন সুমি আক্তার। গত ৩০ মে ‘রূপসী বাংলা ওভারসিজ’ এর মাধ্যমে তিনি সৌদি যান।
বায়রার সভাপতি ঢাকা-২০ এর সাংসদ বেনজীর আহম্মেদ জানান, সুমি আক্তারকে ফিরিয়ে আনার সব ধরনের চেষ্টা চলছে।
আশা করা হচ্ছে খুব দ্রুত তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।
এ ব্যপারে নির্যাতিতা ঐ নারীকে ফেরৎ আনতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
প্রতিমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সাড়া দিয়েছেন। খবরটি রিয়াদে পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মিশনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তাকে দেশে নিয়ে আসার জন্য।
সৌদি থেকে মুঠোফেনে সুমি জানান, কমপক্ষে ২ বার আমাকে বেচাকেনা ও হাত বদল করা হয়েছে। ১৫ দিনে আমাকে মরুভূমির মতো একটি এলাকায় নিয়ে তালা মেরে রাখা হয়। ১০ কক্ষের ওই বিশাল বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর প্রথম কয়েকদিন আমাকে তেমন কাজ করতে হয়নি। সকাল হলেই একজন আরব নারী ঘর তালাবদ্ধ রেখে বাইরে চলে যেতেন। সপ্তাহ না ঘুরতেই শুরু হয় আমার ওপর যৌন নির্যাতন, তখন বুঝতে পারি আমাকে অবৈধ কাজের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে।