অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত হত্যার অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে, আবরার ফাহাদকে হত্যার ঘটনায় ছাত্রলীগের তদন্ত কমিটি ও প্রত্যক্ষদর্শীর ফোনালাপে জানা গেছে, শিবির সন্দেহেই পিটিয়ে হত্যা করা হয় আবরাররকে।
ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে ছাত্রলীগের তদন্ত কমিটির সদস্য আসিফ তালুকদারের সঙ্গে কথা হয় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক মো. আশিকুল ইসলাম বিটুর।
যে ফোনালাপটি পরে ফাঁস হয়। বিটু আবরারকে নির্যাতনের প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন বলে জানা যায়।
ফোনালাপে কেমিকেল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আশিকুল ইসলাম বিটু জানান, শিবির সন্দেহে রাত আটটায় মারধর শুরু হয়।
এই মারধরে যোগ দেন ছাত্রলীগের সকাল, মনির, তানভীর, জেমি, তামিম, সাদাত, রাফিদ, তোহা, অনিকসহ আরও অনেকে।
বিটু বলেন, জেমি আর তানিম আবরারকে ২০১১ নম্বর রুমে নিয়ে আসেন। পরে তার সাথে আমাদের ব্যাচের আরও কিছু ছেলে ওই রুমে আসে। আমি পরে বের হয়ে এসে মনিরকে বলি, কি হয়েছে। মনির আমাকে বলে, মারধর একটু বেশি হয়ে গেছে।
সেই সময় মনির বলে অনিক বেশি মেরেছে।
মারধরের সময় মদ্যপ ছিলে ১৫তম ব্যাচের অনিক। সবচেয়ে বেশি মারধর করেছে সেই। মামলার তিন নম্বর আসামি অনিককেও গ্রেফতার করে পুলিশ।
জানা জানায়, অনিক সরকার বুয়েট ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক। তার গ্রামের রাজশাহীতে। অনিক মোহনপুর উপজেলার বড়ইকুড়ি গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
মামলায় গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মেহেদী হাসান রাসেল, মুহতাসিম ফুয়াদ, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রবিন, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না ও মুনতাসির আলম জেমি।
আবরার ফাহাদ বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি। তার বাড়ি কুষ্টিয়া শহরে। রবিবার মধ্যরাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের দোতলায় ওঠার সিঁড়ির মাঝ থেকে আবরারের লাশ উদ্ধার করে চকবাজার থানা পুলিশ।
জানা যায়, ওই রাতে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে পেটান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কয়েক নেতা।