ধারাবাহিক পর্ব-১
সাভার প্রতিনিধি: সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নে সরকারী খাস জমি ও হিন্দুদের জমি জালজালিয়াতি করে দখলের আভিযোগ উঠেছে ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আ.মজিদ মন্টু’র বিরুদ্ধে, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন হিন্দু সংখ্যালঘু এলাকাবসী। এছাড়াও এলাকায় গরীব অসহায় মানুষের জমির দলিল রেখে চড়া সুদে ফাঁকা স্ট্যাম্পে সই রেখে সময় মতো সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পারলে হাতিয়ে নেওয়া হয় শেষ সম্বল ভিটেমাটি টুকু।
এ ব্যপারে নাম পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, বিগত ৪০বছর পূর্বে মন্টু মিয়ার বাবা মৃতঃ সোনা মিয়ার একটুকরো জমি বলতে কিছুই ছিলনা আর সোনা মিয়া মৃত্যুর সময় জমিজমা বলতে কিছুই রেখে যায়নি। অথচ আজ তাদের এলাকায় সবচেয়ে বেশি জমিজমা এগুলো কিভাবে আসলো কোথা থেকে এত জমিজমা ও নগদ টাকার মালিক হলেন তিনি?
অথচ এই মন্টু মিয়া এমন কোন বড় ব্যবসা বা চাকুরী করেন না যে সেসব আয়ের উৎস দিয়ে এত জমি ও নগদ কোটি কোটি টাকার মালিক হবে।তাহলে এত সম্পদ টাকা পয়সা আসলো কিভাবে?
এ সময় তারা আরো জানান, মন্টুর বাবা সোনা মিয়া ছিলেন একজন অত্যান্ত গরীব দিনমজুর ছিলেন। নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর মতো তার সংসার চালতো। এর বাড়ী ওর বাড়িতে দিনমুজুরী দিন পার করেছেন, তার মৃতুর সময় একখণ্ড জমিও রেখে যায়নি।
অথচ তার ছেলেরা আজ অত্র এলাকার সবচেয়ে বেশি জমিজমা নগদ টাকা ও সম্পদের মালিক!
কিভাবে হয়েছে সেটা এলাকায় কমবেশী সবাই জানেন।
এলাকার একজন হিন্দু বৃদ্ধা বলেনঃ মন্টু ও তার বড়ভাই মহর আজ হতে ৩০থেকে ৪০বছর পূর্বে হতে এযাবৎ এলাকার সরকারী খাস জমি অসহায় নিরীহ হিন্দুদের ভিটেমাটি জমিজমা জাল দলিল কাগজপত্র তৈরী করে মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে জবরদখল করে আজ এত জমিজমার মালিক হয়েছে। এবং ভুয়া দলিল তৈরী করেও অন্যের জমি দখল করে নিয়েছে। এমনকি সরকারী অনেক খাস জায়গার ভুয়া কাগজ তৈরী করে সেগুলো বিক্রি করেও হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। যেসকল মানুষের সাথে এরকম করেছে তারা সবাই গরীব হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ।
কেউ তাদের ভয়ে মুখ খুলেন না মুখ খুললে মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে ধমন করে রাখেন তার উপর এখন আবার পোয় বার, তিনি এখন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তাই অনেকে ভয়ে নিশ্চুপ।
এছাড়াও অভিযোগ আছে মন্টু গোপনে জমির দলিল রেখে চড়া সুদে টাকা দাদন দেয়ার ব্যবসা করেন। আর যদি কেহ টাকা সময়মত সুদে আসলে ফেরত দিতে না পারে তবে তাকে তবে সেই অসহায় মানুষদের মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে তার শেষ সম্বল ভিটেমাটি টুকুও লিখে নেয় তার নিজ নামে।
জানাযায় দুইতিন বছর আগে তিনি সৌদি আরব থেকে পবিত্র হজ্ব ব্রত পালন করে এসেছেন। তারপরেও এখনো তার এহেন কর্মকাণ্ডে এলাকার মানুষ বিস্মিত!
আর এভাবেই মন্টু মিয়া আজ নগদ কোটি কোটি টাকা ও বিঘায় বিঘায় অবৈধ জবরদখল করা জমির মালিক।
এলাকাবাসী মন্টু মিয়াকে ভূমিদুস্য আখ্যদিয়ে তাকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে তার বিচার দাবী করেন । এবং তার সম্পদের হিসাবের জন্য দুদকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ।
এ ব্যপারে মন্টু মিয়ার সাথে কথা বলতে কয়েক দফায় চেষ্টা করে সম্ভব হয়নী।