ধামরাই প্রতিনিধি:
ধামরাইয়ে আপন ফুপার হাতে ধর্ষণের শিকার হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী এক স্কুলছাত্রী। আর সেই ধর্ষণ মামলার বিচারে সহায়তা করার কথা বলে ধামরাইয়ে একটি রিসোর্টে নিয়ে সেই স্কুলছাত্রীকেই ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সাংবাদিক শামীম খানের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরও হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাতে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই স্কুলছাত্রীর খালা বাদী হয়ে শামীম খানকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। এর আগে বুধবার (০২ অক্টোবর) দুপুরে ধামরাইয়ের আলাউদ্দিন পার্কের রিসোর্টে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত শামীম খান ধামরাই পৌরসভার ঘরিদারপাড়ার মৃত জহির খানের ছেলে। বর্তমানে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ধামরাই প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন। এ ঘটনার পর থেকেই শামীম পলাতক রয়েছে।
মামলার এজহার থেকে জানা যায়, গত ২৫ আগস্ট ধামরাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ অনুযায়ী একটি মামলা দায়ের করেন ওই তরুণীর পরিবার, যার এফআইআর নং-৩৯। যেখানে আপন ফুপা ওই ছাত্রী ধর্ষন করে ও গ্রেপ্তারও হয়। পরে শামীম খান সাংবাদিক পরিচয়ে এ মামলার ন্যায় বিচার পাওয়ানোর কথা বলে ওই কিশোরীর পরিবারের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলেন।
পরে গত মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) শামীম ওই তরুণীর পরিবারকে মুঠো ফোনে জানায় মামলার প্রয়োজনে ওই তরুণীকে নিয়ে কোর্টে যেতে হবে। ভুক্তভোগীর পরিবার এতে রাজি হয়। পরদিন বুধবার (২ অক্টোবর) সকাল ১০টায় শামীম নিজের ব্যক্তিগত প্রাইভেটকারে করে ওই তরুণীকে নিয়ে আসেন। বড় জজ আসবে বলে দুপুরে ওই তরুণীকে ধামরাইয়ের আলাউদ্দিন পার্কের রিসোর্টের একটি কক্ষে ওই তরুণীকে নিয়ে গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন তিনি। পরে বিকেলে ওই তরুণীকে একই প্রাইভেটকারে করে তার বাড়ির পাশের বাজারে নামিয়ে দিয়ে আসেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত নেক্কারজনক। ধর্ষক শামীম পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তার বিরুদ্ধে এর আগেও ধামরাইয়ে ধর্ষণের মামলা রয়েছে ও গ্রেপ্তার হয়েছিলো। তিনি আরও জানান, ভুক্তভোগী ওই তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।
