সাভার প্রতিনিধি:
সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়নের নেকীবাড়ী কবরস্থানে গাছ কাটা হবে এমন সংবাদ পেয়ে পরিদর্শনে গেলে সাবেক কাউন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল আলম খাঁনের উপর আর্তকিত হামলা চালিয়েছে একদল সন্ত্রাসী। খবর পেয়ে এলাকাবাসী একজোট হয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে সাবেক চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করেন।
এলাকাবাসী জানায়, কাউন্দিয়া ইউনিয়নে ১৭ বিঘা জমির উপর একমাত্র কবরস্থান নেকীবাড়ী কবরস্থান। ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল আলম খাঁন চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় ওই কবরস্থানে বিভিন্ন রকমের কয়েক’শ গাছ রোপন করেন। গাছগুলো বড় হওয়ায় বর্তমান কাউন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান খাঁন শান্ত প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই টেন্ডারের মাধ্যমে কেটে বিক্রি করার উদ্যোগ নেন।
পরে সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল আলম খাঁন বিষয়টি বুঝতে পেরে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজুর রহমানের কাছে গ্রামবাসীর পক্ষে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কবরস্থানের গাছ কাটা যাবেনা মর্মে বন্ধ করে দেন। পরে সকালে ওই কবর স্থান পরিদর্শনে যান সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল আলম খাঁন। এসময় বর্তমান চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান খাঁন শান্তর নির্দেশে সাবেক চেয়ারম্যানের উপর সন্ত্রাসীদের নিয়ে হামলা চালান কাউন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবু তালেব ও তার ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা। এসময় সন্ত্রাসীরা সাবেক চেয়ারম্যানকে জানে মেরে ফেলার হুমকি ধামকি দিলে এলাকাবাসী গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এছাড়া শান্তর বিরুদ্ধে ওই কবরস্থানের উপর দিয়ে অন্য বাড়িওয়ালাদের রাস্তা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সেই রাস্তার উপর মেলার টেকের মুক্তিযোদ্ধা হবির কবর আছে বলেও জানান তারা।
এছাড়া হামলার ছবি তোলার চেষ্টা করা হলে সন্ত্রাসীরা সাংবাদিকদের বলে ‘ছবি তুললে ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করে দেবো, আমরা এখন ক্ষমতার মালিক’!
সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল আলম খাঁন বলেন, আতিকুর রহমান শান্ত ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হওয়ার পরে কাউন্দিয়া ইউনিয়নের মাদক ও ইয়াবা ব্যবসা বেড়ে গেছে। এর প্রতিবাদ কেউ করলে তাকে মামলাসহ নানা হয়রানীর শিকার হতে হয়। সন্ত্রাসীদের ভয়ে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলেও জানান।
কে এই শান্ত? স্থানীয়রা জানায়, আতিকুর রহমান শান্ত কাউন্দিয়া ইউনিয়নের এক আতঙ্কের নাম। কিছুদিন আগে তুরাগ নদীতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সময় বিআইডব্লিটির ম্যাজিষ্ট্রেটকে বাধা প্রদানের অভিযোগে তাকে পুলিশ আটক করে পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। শান্তর সহযোগী ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবু তালেব কাউন্দিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা হয়ে মিরপুর দারুসসালামের ভুয়া ঠিকানা দিয়ে একটি পিস্তল ও শর্টগানের লাইসেন্স করে এলাকার মানুষকে অস্ত্রের ভয়ভিতি দেখাচ্ছে।
এবিষয়ে আতিকুর রহমান খাঁন শান্ত বলেন, ওই কবর স্থানের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য গাছ কাটার পরিকল্পনা করা হয়েছিলো।
এবিষয়ে সাভার মডেল থানার কাউন্দিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ প্রাণ কৃষ্ণ অধিকারী বলেন, অভিযোগ পেলে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিবেন বলে জানান সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল আলম খাঁন।