অনলাইন ডেস্কঃ
রাজধানীর মতিঝিলে ১০ লাখ টাকা ছিনতাই চেষ্টায় অভিযুক্ত বংশাল থানা পুলিশের কনস্টেবল আল মামুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
ছিনতাইয়ের শিকার আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে মতিঝিল থানায় এ মামলা করেন। মামলা নম্বর-৮। মামলার অপর আসামি জিতু নামের একজন। আরেকজন অজ্ঞাত।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মতিঝিল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মনির হোসেন মোল্লা জানান, টাকা ছিনতাইয়ে অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল মামুন পাওনা টাকা তুলে দেয়ার কথা বললেও প্রাথমিক তদন্তে এর কোনো সত্যতা মেলেনি। মামুন, জিতুসহ মোট তিনজন ছিনতাইয়ে অংশ নেন। বাধা দিলে পুলিশের হ্যান্ডকাপ দিয়ে বাদীর মাথায় আঘাত করেন তারা। দেনাপাওনার বিষয়টি সামনে এনে ছিনতাই ইস্যুটি ভিন্নখাতে নেয়ার চেষ্টা ছিল।’
মতিঝিল থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত কনস্টেবল আল মামুন পুলিশের গাড়িচালক। তিনি বংশাল থানার গাড়ি চালক। এর আগে তিনি মতিঝিল থানায় তিন বছর চাকরি করেন।
উল্লেখ্য, বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মতিঝিল এনআরবিসি ব্যাংক থেকে টাকা তুলে মোহামেডান ক্লাবের সামনের সড়কে দিয়ে যাচ্ছিলেন ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ। ওইসময় পুলিশ কনস্টেবল মামুনও দুইজন ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদের কাছ থেকে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এতে বাধা দিলে মামুন তার হাতে থাকা হ্যান্ডকাপ দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। পরে টাকার ব্যাগ নিয়ে পালানোর সময় জনতা পুলিশ কনস্টেবলসহ দুইজনকে ধরে ফেলে এবং গণধোলাই দেয়। তবে একজন পালিয়ে যান।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ লেখা একটি মোটরসাইকেল (ঢাকা মেট্টো ল- ২৪-৩৬৯৯) জব্দ করে পুলিশ।
আবুল কালাম আজাদের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্চারামপুরে। তিনি মতিঝিল আরামবাগ এলাকায় থাকেন। পল্টনের শখ টাওয়ারে তার ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম ব্যবসার অফিস আছে।