মোঃ ইব্রাহিম খলিল উল্লাহঃ
সম্প্রতি বাংলাদেশের কয়েকটি জেলায় অ্যানথ্রাক্স রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। অ্যানথ্রাক্স ছড়িয়ে পড়ায় এসব এলাকায় মানুষের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
মানুষের অ্যানথ্রাক্স মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি অ্যানথ্রাক্স হয় পরিপাকতন্ত্রে, আরেক ধরণের অ্যানথ্রাক্স শরীরের বাইরের অংশে সংক্রমণ ঘটায়। খবর-বিবিসি বাংলা।
পরিপাকতন্ত্রে অ্যানথ্রাক্স জীবাণুর সংক্রমণ হলে কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। যেমন- হালকা জ্বর, মাংসপেশীতে ব্যথা ও গলা ব্যথা।
আর বাংলাদেশে যে অ্যানথ্রাক্স দেখা যায় তা শরীরের বাইরের অংশে প্রভাব ফেলে। শরীরের বাইরের অংশে অ্যানথ্রাক্স হলে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ফোঁড়া বা গোটা হয়ে থাকে। এছাড়া ফোঁড়া ভালো হয়ে গেলে হাতে, মুখে বা কাঁধের চামড়ায় দাগ দেখা যেতে পারে।
সাধারণত যেসব এলাকায় গবাদি পশু পালন করা হয় সেখানে অ্যানথ্রাক্সের প্রকোপ বেশি দেখা যায়।
এ বিষয়ে বাংলাদেশের রোগতত্ব, নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক মেহেরজাদী সাবরিনা ফ্লোরা জানান, বাংলাদেশে সাধারণত কয়েকটি নির্দিষ্ট এলাকাতেই অ্যানথ্রাক্স হয়ে থাকে। এই রোগ গরু, ছাগল, মহিষের মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে।
কীভাবে অ্যানথ্রাক্স মানুষের মধ্যে ছড়ায়?
মূলত অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত পশুর মাংস কাটার সময় মানুষের মধ্যে অ্যানথ্রাক্স ছড়ানোর সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে।
মিজ ফ্লোরা বলেন, পশু জবাই করা, মাংস কাটা, মাংস ধোয়া ও রান্নার সময় অনেকক্ষণ মাংস,রক্ত-হাড্ডির সংস্পর্শে থাকলে এই রোগ হতে পারে।
এছাড়া মাংস কাটাকাটির সময় শরীরের চামড়ায় ক্ষত থাকলে দেহে অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু প্রবেশ করার সম্ভাবনা বেশি।
তিনি বলেন, পশু থেকে মানুষের মধ্যে অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণ হলেও মানুষ থেকে অন্য মানুষের মধ্যে অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণ হয় না।
কী করবেন?
অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধে মূলত দুই ধরণের পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছেন মিজ. ফ্লোরা।
১. যাদের গরু, মহিষ, ছাগলের মত গবাদি পশু রয়েছে তারা অবশ্যই নিয়মিত অ্যানথ্রাক্সের টিকা দেবেন।
২. পশুর যদি অ্যানথ্রাক্স হয় তবে অবশ্যই দ্রুত মাটির নীচে পুঁতে ফেলতে হবে।