মাসুদ রানা:
আশুলিয়ায় কারখানা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক নারী পোশাক শ্রমিককে (১৯) তুলে নিয়ে গণধর্ষণ অন্যদিকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে।
সোমবার রাতে গাজীরচট এলাকার ভুইয়া পাড়ায় ফজল ভুইয়ার পরিত্যক্ত কারখানা ও ভাড়াটে বাড়িতে পৃথক দুটি ঘটনা ঘটে।
এর সাথে জড়িত থাকার দায়ে মঙ্গলবার সকালে গাড়ি চালকসহ তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে এসব ঘটনার সাথে ফজল ভুইয়ার এখনো কোন সম্পৃক্ততা খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক ফজিকুল ইসলাম।
আটককৃতরা হচ্ছে- আশুলিয়ার গাজীরট এলাকার ভুইয়া পাড়া মহল্লার ফজল ভুইয়ার ম্যানেজার তুহিন (৪৪), স্থানী বখাটে কাইয়ুম (২৬) ও প্রাইভেটকার চালক সারফিন।
পুলিশ ও ধর্ষীতার পারিবারিক সূত্র জানায়, আশুলিয়ার গাজীরচট এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন নারী শ্রমিক। সোমবার রাতে কারখানা থেকে ফেরার পথে স্থানীয় কয়েক জন বখাটে ওই নারী শ্রমিককে সড়ক থেকে তুলে নিয়ে যায়।
পরে পাশের ফজল ভুইয়ার মালিকানাধীন ভাড়াটে বাড়ির একটি কক্ষে নিয়ে তার উপর পালাক্রমে চালানো হয় পাশবিক নির্যাতন। পরে এ ঘটনা কাউকে জানালে তাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে একই এলাকার আরোও এক পোশাক শ্রমিককে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ফজল ভুঁইয়ার মালিকানাধীন পরিত্যক্ত কারখানায় ডেকে নিয়ে গণধর্ষণ করা হয়।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এস আই) ফজিকুল ইসলাম বলেন, দুই তরুণীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান ষ্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। তবে ঘটনা দুটি পৃথক।
কারখানা থেকে ফেরার পথে নারী শ্রমিককে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ ও একই রাতে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে আরো এক তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয়।
দুটি ধর্ষণের ঘটনা ফজল ভুইয়ার মালিকানাধীন ভাড়াটে বাড়ি ও পরিত্যাক্ত কারখানায় সংঘটিত হয়েছে। এর মধ্যে তুহিন ফজল ভুইয়ার ম্যানেজার হওয়ার কারণে ভড়াটে বাড়িতে শ্রমিককে তুলে নিয়ে যায়। অন্যদিকে গাড়িচালক তহিদুল ভুইয়ার সহযোগীতায় চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই নারীকে পরিত্যক্ত কারখানায় ডেকে নেয়।
ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ সরদার বলেন, এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৩ আসামির গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামি ধরতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হচ্ছে। আসামিদের ধরতে দিনে এবং রাতে অভিযান হয়েছে। ঢাকা কয়কটি জায়গায় হানা দিয়েছে পুলিশ । সেই সঙ্গে আসামিরা যাতে দেশ ছাড়তে না পারে সে জন্য বিমান বন্দরগুলোকেও সতর্ক করা হয়েছে।