ইব্রাহিম খলিল:
এদেশে গুমের শুরু হয়েছে ১৯৭২ সাল থেকে। সেই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর থেকে এপর্যন্ত সারাদেশে গুম হওয়া মানুষের সংখ্যা ১২০৯ জন। শুক্রবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার সূত্র উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম রিজভী কবির রিজভী এ পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।
রিজভী বলেন, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটসের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০০৯ সালের শুরু থেকে ২০১৮ সালের শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ৫০৭টি জোরপূর্বক গুমের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে উপস্থাপন করেছে নাগরিক সমাজ বিষয়ক গ্রুপগুলো। গুম হয়ে যাওয়া মানুষের ভেতরে ২৮৬ জন জীবিত অবস্থায় ঘরে ফিরে এসেছেন। ৬২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে মৃত অবস্থায়। বাকি ১৫৯ জন মানুষ আজও নিখোঁজ রয়েছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে গুমের ইতিহাস সৃষ্টি করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। রাষ্ট্রীয় মদদ ছাড়া কাউকে গুম করা অসম্ভব। গুম ও ক্রসফায়ারের মতো গুরুতর অপরাধের ঘটনাগুলো সমাজে, সংবাদ মাধ্যমে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি হলেও তাতে সরকারের টনক নড়ে না। এতেই বোঝা যায় এতসব গুমের হোতা কারা।
বিএনপির এই নেতা বলেন, গুম হওয়া ১২০৯ জনের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গুমের সংখ্যা ৭৮১ জন। এর মধ্যে রয়েছেন জনপ্রতিনিধি সাবেক এমপি এম. ইলিয়াস আলী, সাইফুল ইসলাম হিরু, কাউন্সিলর চৌধুরী আলম, লাকসামের বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির পারভেজ, সুমন, ছাত্রনেতা জাকির, নিজামুদ্দিন মুন্না, তারিকুল ইসলাম ঝন্টু, আদনান চৌধুরীসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী। বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদকে দুই মাস গুম করে রাখার পর অন্য দেশে ফেলে দিয়ে আসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।