বরগুনায় ধর্ষিতা কিশোরীর সন্তান প্রসব - adsangbad.com

সর্বশেষ


Sunday, September 1, 2019

বরগুনায় ধর্ষিতা কিশোরীর সন্তান প্রসব



বরগুনা প্রতিনিধি
বরগুনার বেতাগীতে ধর্ষনের পর ধর্ষক পলাতক রয়েছে। আর এই সময়ে ওই ধর্ষিতা কিশোরীর কোলে জুড়ে এসেছে সন্তান। এ বিষয় নিয়ে এলাকায় ব্যপক গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে বলেন,‘কে হবে এই নবাগত সন্তানের বাবা?’ কে এর ভবিষ্যতের দায়িত্ব নিবে এমন  একাধিক প্রশ্নের সমুক্ষিন ধর্ষিতা কিশোরী ও তার পরিবার।

ঘটনাটি উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের দক্ষিন হোসনাবাদ গ্রামের ষষ্ঠ শ্রেনীতে পড়ুয়া এক কিশোরীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এবং ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে একাধিক বার শারিরিক সম্পর্ক করেন একই গ্রামের মো. কালাম বেপারীর ছোট ছেলে আক্কাস বেপারী।

কিছুদিন এমন অবৈধ সম্পর্কের পর কিশোরী সাময়িক অসুস্থ হয়ে পরে। শারিরিক উন্নতির জন্য ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে জানা যায় কিশোরী চার মাসের অন্তসত্ত্বা। এমন খবর এলাকায় ছড়িয়ে পরলে ধর্ষক আক্কাসের পরিবারের প্রতি বিয়ের জন্য চাপ আসে। 

কিছু আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে মিমাংসা হতে চাইলে মেয়ের পরিবার অসম্মতি জানান এবং ন্যায় বিচারের জন্য বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল বরগুনায় মামলা করেন। মামলার খবর পেয়ে ধর্ষক ও আসামী এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। এবং কিশোরীকে অন্তসত্ত্বা বাচ্চাসহ প্রাননাশের হুমকি দেয়। যার প্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলন ও থানায় অভিযোগ করেন করেন ধর্ষিতার পরিবার। এমন পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকমাস অতিবাহিত হওয়ার পরে ২৮ আগষ্ট বুধবার রাতে ধর্ষিতা কিশোরী একটি পুত্রসন্তানের মা হন। 

তিনি বলেন,‘আমি যে আমার পোলার একটা নাম রাখবো সেই সৌভাগ্যও আমার হয়নি। আরো বলেন, যেদিন আমি প্রসব বেদনায় ছটফট করছিলাম সেদিনও আমাকে মারার জন্য আমার ঘর দড়জা কুপিয়ে গেছে আক্কাসের বাবা কালাম বেপারী।এ কটি রাজনৈতিক মহলের দাপটে তারা আমাদের এমন ভয়ভীতি দেখিয়ে চলছে।আরো বলেন, না পেলাম স্ত্রীর মর্যদা তারপরও সন্তানের মা। আমি আর কিছু চাই না আমার সন্তানের পরিচয় চাই এ বলে চিৎকার দিয়ে কেঁদে ফেলে তরুণী।

যে বয়সে টিফিনের বক্স নিয়ে দৌড়ে স্কুলে যাওয়ার কথা সেই বয়সেই এক পুত্র সন্তানের জননী এই তরুণী। এক কথায় বলা যেতে পারে শিশুর কোলে শিশুর জন্ম। তবে নিস্পাপ শিশুটি যেন পিতৃপরিচয় পায় এমটাই দাবী পুরো এলাকাবাসীর।

তবে এমন সকল অভিযোগ অবান্তর ও অস্বীকার করে ধর্ষক আক্কাসের বাবা কালাম বলেন, আমার মানসম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য এলাকার একটি কৃচক্রীমহল এমনটি করেছে। আমার ছেলে মিথ্যা মামলার কারনে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। নবাগত সন্তানের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে বলেন, ও সন্তান আমার ছেলের জন্মেও না। বেশ কিছুদিন ঐ মেয়ে তার বোনের বাড়িতে বেশ কিছুদিন ছিলো এবং তার বোন জামাইর সাথে অবৈধ সম্পর্ক ছিলো। হতে পারে সন্তান তার বোন জামাইর জন্মের।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. খলিলুর রহমান খান বলেন,‘আমরা স্থানীয় ভাবে ঘটনার পর থেকেই ছেলে কর্তৃক মেয়কে বিবাহের জন্য বলেছি। ছেলে পলাতক রয়েছে এবং মামলাও প্রক্রিয়াধিন রয়েছে। যার কারনে কোন ধরণের মিমাংসা করানো সম্ভব হয়নি।

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here

Pages