এম শাহীন আলম (কুমিল্লা থেকে):
গত ২৪শে আগষ্ট ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দ শনিবার কুমিল্লার সদর উপজেলার ভাটকেশ্বর( নোয়া পাড়া)গ্রামে গরীব ঘরে জন্ম নেওয়ার অপরাধে হাতে বিয়ের মেহেদির রং মোছার আগেই জামাই, শ্বশুর,শ্বাশুরী ও দেবরের মানসিক ও শারীরিক অত্যাচারে প্রাণ গেল জুলেখার (২১) নামের এক গৃহবধুর।
অনুসন্ধানে সরে জমিনে জানা যায় গত একমাস পূর্বে কুমিল্লা সদর উপজেলা ভাটকেশ্বর ( নোয়াপাড়া) গ্রামের হারুন মিয়ার প্রবাসী ছেলে সোহাগ (৩৫)এর সাথে একেই জেলার সদরদক্ষিণ উপজেলার নগরকান্দি (মেরুয়ালী) গ্রামের হত- দরিদ্র পরিবারের মৃত নূরুল ইসলামের মেয়ের সাথে সামাজিক ভাবে বিবাহ হয়।জানা যায় বিয়ের সময় জুলেখার গ্রামবাসী এবং আত্নীয় স্বজনেরা মিলে চাদাঁ উঠিয়ে যৌতুক হিসেবে জুলেখার জন্য দুই ভরি স্বর্ণলংকার এবং সোহাগের ঘরের ফার্নিচার বাবদ আশি হাজার টাকা জুলেখার শ্বশুর বাড়ীর লোকদের জন্য গত কোরবানের ঈদে ২০ হাজার টাকার কাপড় দ্বারদেনা করে মেয়ের সুখের আশায় কিনে দেন জুলেখার মা শাহানারা বেগম শানু।নিহতের পরিবার ও আত্নীয় স্বজনের অভিযোগ বিয়ের কয়েকদিন না যেতেই জামাই, শ্বশুর,শ্বাশুরী ও দেবর মিলে জুলেখার উপর মানসিক নির্যাতন করতে থাকে এবং জুলেখা গরীব ঘরের মেয়ে বলে জামাই এবং তার শ্বাশুরী বিভিন্ন উচিলা দিয়ে তাকে মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন করতে করতে তারা জুলেখাকে মেরে বাথরুমে উড়না পেছিয়ে জুলিয়ে রাখে জানান।সরেজমিন জুলেখার এক আত্নীয় ভাই শামীম সাংবাদিকদের জানায় ঘটনার দিন সকাল অনুমান এগারটার দিকে জুলেখার জামাইর বাড়ী এলাকার ইউপি মেম্বার তাজুল ইসলাম মোবাইল ফোনে জানায় তাদের মেয়ে জুলেখা ফাসিঁ দিয়ে মারা গেছে তা শোনে আমরা কয়েকজন জরুরী জুলেখার জামাইর বাড়ীতে যাই এবং গিয়ে শুনি ততক্ষণে জুলেখাকে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোতয়ালী মডেল থানার পুলিশ নিয়ে গেছে।শামীম জানায় জুলেখার মৃত্যু আত্নহত্যা নয় তার ফাসিঁতে জুলানো ছবিই প্রমাণ করে জুলেখাকে মেরে বাথরুমে জুলিয়ে রাখা হয় এবং জুলানো অবস্হায় ছবি তে দেখা যায় তার পা দুটো মেঝেতে বাকাঁ ছিল।জুলেখার মায়ের অভিযোগ আমার মেয়েকে তারা মেরেছে আমি গরীব মানুষ বলে জুলেখাকে তারা তাড়িয়ে দিতে না পেরে মেরে ফেলেছে।সরকারের কাছে মাননীয় প্রধান মন্এী শেখ হাছিনার কাছে তার মেয়ের হত্যাকারীদের সঠিক বিচার দাবী করেন নিহত জুলেখার মা শাহানারা বেগম।জুলেখার জামাইর এলাকায় সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায় প্রবাসী সোহাগ জুলেখার বিয়ের আগেও আরো চারটি বিয়ে করেন এবং সব কয়টি বউকে কোন না কোন উচিলা দিয়ে মানসিক শারীরিক নির্যাতন করে তাড়িয়ে দেন।এই ঘটনায় জুলেখার মা বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার একটি এজাহার দায়ের করেন।